Reiki Hand Position
ড. মিকাও উসুই রেইকি প্রবর্তক।
Meghe Meghe Andha
যে সকল রোগ ব্যাধিতে রেইকি প্রয়োগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে
১. রেইকি চিকিৎসায় সাধারণ মাথাব্যাথা, মাইগ্রেন বা যে কোন ধরণের বাত-ব্যাথা, আর্থাইটিস, এলার্জি, আলসার, হৃদরোগ, পুড়ে যাওয়া, পিঠের ব্যাথা, পেটের রোগ, কিডনির রোগ, পিত্তের রোগ, লিভার সমস্যা, অনিদ্রা, ইত্যাদি সকল সাধারণ ও জটিল রোগের চিকিৎসা সম্ভব। পলিও আক্রান্ত, অংগ বিকৃত রোগীদের জটিল অবস্থায়ও রেইকিতে সুফল পাওয়া যায়। রেইকি রোগের উৎপত্তিস্থলে গিয়ে সম্পূর্ণ আরোগ্য করে।
২. একইভাবে মুখেরব্রণ, রক্তাল্পতা, ক্ষুদামন্দা, হাঁপানী, শ্বাসের দুর্গন্ধ, সর্দি-কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও অজীর্ণ, স্থূলতা, নিউমোনিয়া, ক্লান্তি, তরকা, স্নায়ু বিকার, হাইপার টেনশন, রক্তচাপ, রক্তাল্পতা, চোখের বিভিন্ন অসুখ, মায়োপ্যাথি ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা করা যায়।
৩. পুরুষ ও নারীর ইনফার্টিলিটি, ডিম্বাশয়ের টিউমার, মাসিক ঋতুজনিত অসুস্থতা, শ্বেতস্রাব, সকল যৌনরোগ, সকল স্ত্রীরোগ, সিস্ট, বিছানায় প্রস্রাব, প্রষ্টেট গ্ল্যান্ডের সমস্যা, এমনকি ব্যথাহীন প্রসবেও সাহায্য করতে পারে রেইকি। গর্ভাবস্থায় রেইকি মা ও বাচ্চার স্বাস্থ্য ভাল রাখে। বাচ্চা জন্মগত ত্র“টি নিয়ে জন্মায় না।
৪. রেইকি প্রয়োগের শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য, স্মরণশক্তি, লেখা-পড়া, খেলাধুলা, ব্যবসা, চাকুরী, পদোন্নতি ও পারস্পরিক সম্পর্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারেন। স্নায়ুচাপ, মানসিক দুর্বলতা, মাদকাসক্তি, বদভ্যাস, দুঃশ্চিন্তা, হতাশা, অস্থিরতা, বদমেজাজ ও টেনশান ইত্যাদি থেকেও।
৫. আত্ম বিশ্বাসের অভাব, ক্লান্তি, উদ্বেগ, রাগ, নাকডাকা, থোথলামি, খিটখিটেপনা, ভয়, সকল মানসিক রোগ, মনঃসংযোগের অভাব, হতাশা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, স্মৃতি শক্তি হারিয়ে যাওয়া প্রভৃতি কতেক রোগে প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থায় ওষধের দ্বারা স্থায়ী উপশম করতে পারে না। অথচ আমাদের দেশেও আল্লার রহমতে রেইকি চিকিৎসায় আরোগ্য প্রাপ্তদের তালিকা ইতিমধ্যে ক্রমশঃ দীর্ঘতর হচ্ছে। রেইকি ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং পড়াশোনায় অমনোযোগীতা দূর করে।
৬. গাছপালা, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ সকল জীব এবং জড়বস্তুতেও রেইকি প্রয়োগ করে চমৎকার ফল পাওয়া যায়।
সম্পূর্ণ ওষুধ বিহীন প্রাকৃতিক চিকিৎসা ‘রেইকি’ সম্পর্কে আরও জানতে, শিখতে, বই-পত্র, চিকিৎসা, পরামশ, তথ্য ও সেবার জন্য রেইকি সেন্টার বাংলাদেশ’র সাথে- 01911113022 নম্বরে কথা করতে পারেন। বাড়ী # ৩৬, নাভানা গার্ডেন, কল্যাণপুর, মিরপুর রোড ঢাকায় কেন্দ্রটি অবস্থিত। এখানে সপ্তাহে একদিন সেমিনার, নিয়মিত রোগীদেখা, পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা দেয়া এবং ‘রেইকি- ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ডিগ্রি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
বর্তমানে ঢাকার পাশাপাশি দেশের অনেক জেলা ও উপজেলার বিভিন্নস্থানে ‘রেইকি চিকিৎসা কেন্দ্র’ চালু হয়েছে যেখানে প্রশিক্ষিত রেইকি চ্যানেলগণের অনেকেই পেশাদার রেইকি প্রেক্টিশনার হিসাবে চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করেছেন। যে কোন রোগের চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণের জন্য তাঁদের সাথেও কথা বলা যায়। সকল স্থানীয় কেন্দ্রের ঠিকানা ও ফোন নম্বর ঢাকাকেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করা যায়। এছাড়াও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সম্পূর্ণ ওষধ বিহীন চুম্বক চিকিৎসা বা ম্যাগনেটোথেরাপি এবং আকুপ্রেশার পদ্ধতি, প্রত্যেহ ১৫-২০ মিনিট গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস প্রণালী বা ‘প্রাণায়াম’ অনুশীলন, প্রতিদিন নিয়মিত যোগাসন বিশেষভাবে ফলপ্রদ।
রেইকিতে কর্মসংস্থান ঃ
আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের অভাবের কথা, দিন দিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা সকলেরই জানা। রাতারাতি বড় লোক হওয়া বা লোক ঠকানোর কুমানসিকতা যাদের নেই, তারা রেইকি শিখে নিজের ঘরে বসেই জীবিকার জন্য অর্থ উপার্জন ও মানব সেবা করতে পারেন।
১. রেইকি চিকিৎসায় ওষুধ লাগে না। নেই কোন অস্ত্রপ্রচার বা রক্তক্ষরণ। ফলে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। রোগী দেখবেন, চিকিৎসা করবেন তার রোগ যন্ত্রণা লাগভ হলে, রোগী আরোগ্য লাভ করলে- চিকিৎসককে পারিশ্রমিক দিতে বাধা কোথায়।
২. আবার আজ এই ঔষধ, কাল সেই ঔষধ, আজ এই টেষ্ট, কাল সেই টেষ্ট বলে চিকিৎসার নামে দীর্ঘ সূত্রিতা ও রোগীদের অর্থ-স্বার্থ নাশের সুযোগও এখানে নেই।
৩. কাজেই সৎ ও নিষ্টাবান ব্যাক্তিরা, আদর্শ জীবন যাপনে আগ্রহীরা স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য রেইকি শিখতে পারেন। চর্চা ও সাধনার মাধ্যমে নিজেকে আদর্শ রেইকি চিকিৎসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। জীবনকে করতে পারেন সফল ও প্রাচুর্য্যময়। কাজেই সৎ পথে আর্থিক সচ্ছলতা চাইলে রেইকি শিখুন।
৪. আবার প্রায়োগিক সীমার বিবেচনায় অন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতি রেইকির বিকল্প হতে পারে না। এ বিদ্যা শিখতে সময় লাগে কম, শিখার খরচও কম। আবার চিকিৎসা কালে ওষুধপত্র ও টেষ্টের জন্যও আর খরচ হয় না।.
জাপানি পদ্ধতি ‘রেইকি’।
আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের অভাবের কথা, দিন দিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা সকলেরই জানা। রাতারাতি বড় লোক হওয়া বা লোক ঠকানোর কুমানসিকতা যাদের নেই, তারা রেইকি শিখে নিজের ঘরে বসেই জীবিকার জন্য অর্থ উপার্জন ও মানব সেবা করতে পারেন।রেইকি শিক্ষা বা শক্তি লাভ করার ব্যাপারে কোনো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ভেদ করা হয় না। এর প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য কোনো প্রকার ডিগ্রীর প্রয়োজন হয় না, কোনো বিশেষ শারীরিক বা মানসিক যোগ্যতারও প্রয়োজন হয় না। অনেক টাকা বা সময়েরও দরকার হয়না। রেইকি’র অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর সরলতা। শুধুমাত্র ইচ্ছা শক্তি সম্বল করে যে কেউ রেইকি শিখতে পারে। এবং রেইকি’র সাহায্যে নিজের বা অন্য মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, জড়ব¯ু—র চিকিৎসা করতে পারেন।
রেইকি চিকিৎসায় ওষুধ লাগে না।
রেইকি চিকিৎসায় ওষুধ লাগে না। নেই কোন অস্ত্রপ্রচার বা রক্তক্ষরণ। ফলে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না। রোগী দেখবেন, চিকিৎসা করবেন তার রোগ যন্ত্রণা লাগভ হলে, রোগী আরোগ্য লাভ করলে- চিকিৎসককে পারিশ্রমিক দিতে বাধা কোথায়।
আবার আজ এই ঔষধ, কাল সেই ঔষধ, আজ এই টেষ্ট, কাল সেই টেষ্ট বলে চিকিৎসার নামে দীর্ঘ সূত্রিতা ও রোগীদের অর্থ-স্বার্থ নাশের সুযোগও এখানে নেই।
কাজেই সৎ ও নিষ্টাবান ব্যাক্তিরা, আদর্শ জীবন যাপনে আগ্রহীরা স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য রেইকি শিখতে পারেন। চর্চা ও সাধনার মাধ্যমে নিজেকে আদর্শ রেইকি চিকিৎসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন। জীবনকে করতে পারেন সফল ও প্রাচুর্য্যময়। কাজেই সৎ পথে আর্থিক সচ্ছলতা চাইলে রেইকি শিখুন।
রেইকিতে কর্মসংস্থান
আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের অভাবের কথা, দিন দিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা সকলেরই জানা। রাতারাতি বড় লোক হওয়া বা লোক ঠকানোর কুমানসিকতা যাদের নেই, তারা রেইকি শিখে নিজের ঘরে বসেই জীবিকার জন্য অর্থ উপার্জন ও মানব সেবা করতে পারেন।রেইকি শিক্ষা বা শক্তি লাভ করার ব্যাপারে কোনো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ভেদ করা হয় না। এর প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য কোনো প্রকার ডিগ্রীর প্রয়োজন হয় না, কোনো বিশেষ শারীরিক বা মানসিক যোগ্যতারও প্রয়োজন হয় না। অনেক টাকা বা সময়েরও দরকার হয়না। রেইকি’র অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর সরলতা। শুধুমাত্র ইচ্ছা শক্তি সম্বল করে যে কেউ রেইকি শিখতে পারে। এবং রেইকি’র সাহায্যে নিজের বা অন্য মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, জড়ব¯ু—র চিকিৎসা করতে পারেন।
Mikao Usui Reiki
Reiki Powerful Distant Healing
হার্বস বাংলাদেশ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
হার্বস বাংলাদেশ
HERBS BANGLADESH
ভেষজ তথ্য, গবেষণা, চাষ, বিপণন ও পরামর্শ কেন্দ্র
বিজ্ঞানবার্তা ভবন, ১৩৩ চন্দনপুরা (গুলজার বেগম স্কুলের উত্তর পাশে), নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড, চট্টগ্রাম-৪২০৩
ঢাকায়ঃ বাড়ী#৩৬, নাভানা গারডেন, কল্যাণপুর, মীরপুর রোড, ঢাকা-১২১৬
ভেষজ উদ্ভিদের বাণিজ্যিক চাষঃ এক সম্ভাবনাময় অর্থকরী ব্যবসা
এম. মহিউদ্দিন ইসলাম
গবেষক # সম্পাদক – মাসিক বিজ্ঞান বার্তা # মহাসচিব- বিজ্ঞান চেতনা সমিতি,
প্রধান নির্বাহী- হার্বস বাংলাদেশ # মুহম্মদাবাদ ভেষজ বাগান # মাশরুম বাংলাদেশ
ভেষজ বা ওষধি উদ্ভিদের ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতোই দীর্ঘ ও প্রাচীন। তেমনি ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতিও হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি। সমগ্র বিশ্বে এক সময় শুধু এই পদ্ধতিই চিকিৎসা শাস্ত্রে একমাত্র পদ্ধতি হিসাবে স্বীকৃত ছিল। বাংলাদেশ তথা আমাদের উপ-মহাদেশেও এর ব্যাতিক্রম ছিল না। আযুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসা এখনো প্রাচীনতম এবং উন্নততম চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে সুখ্যাত।
রাসায়নিক ওষধের তুলনায় অধিকতর নিরাপদ ও পার্শ্বকৃয়াহীন হওয়ায় উদ্ভিদজাত ভেষজ পাশ্চাত্য দেশ সমূহে ক্রমাগত জনপ্রিয় হচ্ছে। ফলে দেশে বিদেশে ভেষজ উদ্ভিদ এবং ভেষজ থেকে তৈরি ওষধের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই ভেষজ উদ্ভিদের পরিকল্পিত চাষাবাদ এখন অতুলনীয় ভাবে অর্থকরী। দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির সমৃদ্ধিতে ভেষজ উদ্ভিদের চাষাবাদ একটা নতুন মাত্রা এনে দিতে পারে। ভেষজ উদ্ভিদের প্রাকৃতিক যোগান ক্রমশঃ কমে আসেছে। অথচ এসবের চাহিদা ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে সারা পৃথিবী জুড়ে। সেই আন্তর্জাতিক বিশাল চাহিদার তথা বাণিজ্যের অংশীদার হতে হলে দেশের সর্বত্র পরিকল্পিত ভাবে ভেষজ উদ্ভিদের চাষ করা দরকার।
একসময়ে গ্রাম গঞ্জের পথে প্রান্তরে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যাপক সমারোহ ছিল। বনে বাদারে আনাচে কানাচে দৃষ্টি দিলেই চোখে পরত বিচিত্র সব ভেষজ উদ্ভিদ। কিন্তু দেশব্যাপী র্নিবিচারে বৃক্ষ নিধন, বনায়নের নামে বিদেশী প্রজাতির গাছ লাগানোর জন্য ধ্বংস করার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে অতি মূল্যবান দূর্লভ ওষধি উদ্ভিদের প্রজাতি। অপরদিকে দীর্ঘদিন অবহেলার ফলে এগুলো সনাক্তকরণ ও ওষধি গুণাগুণের কথাও ভুলে গেছে সাধারণ মানুষ।
বিশ্বব্যাপী ভেষজ নিয়ে এখন এক নব জাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু চিন কিংবা কোরিয়াই নয় এখন আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ ইউরোপের বহুদেশ ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে ক্রমশ। সেখানে ব্যাপকভাবে ভেষজ চাষ হচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে। শুধুমাত্র ওষধ হিসাবেই নয়, প্রসাধন হিসাবেও ভেষজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চিনের মতো উন্নত একটি দেশে ৮০ ভাগ চিকিৎসা হয় ভেষজে। আসল কথা হলো এ পদ্ধতিতে চিকিৎসায় কোন পার্শ্বপ্রতিকৃয়া বা সাইড এফেক্ট নাই। এ কারণেই উন্নত বিশ্বের মানুষ এখন এ দিকে ঝুকছে। সারা বিশ্বের এই সম্ভাবনাময় মার্কেট আমরা ধরতে পারি। আমাদের সে অবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশের মাটি ভেষজ উদ্ভিদ উৎপাদনের জন্য উপযোগী। এখনো দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর ভেষজ উদ্ভিদ এমনিতেই জন্মে থাকে। এখন প্রয়োজন শুধু উদ্যোগের।
আগেই বলেছি ভেষজ পদ্ধতিই এক সময় চিকিৎসার প্রধান মাধ্যম ছিল। সবচেয়ে বড় বিষয় পশ্চিমা বিশ্ব ভেষজ ছেড়ে যেভাবে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নির্ভর হয়ে পড়েছিল, সেই পশ্চিমারাই এখন এই পদ্ধতিতে ফিরে এসেছে। এটির কোন ভিত্তি না থাকলে তারা ফিরে আসছে কেন? ফিরে আসার কারণ তারা সচেতন। রোগ বালই থেকে দূরে থাকার জন্য এবং একটি রোগ সারাতে গিয়ে এলোপ্যাথি ওষধ ব্যবহার করে এর পার্শ্ব প্রতিকৃয়ায় আরেকটি রোগের যাতে সৃষ্টি না হয় তার জন্যই সবাই ভেষজ পদ্ধতিতে ফিরে যাচ্ছে।
মোট কথা দেশের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় ও অর্জনের স্বার্থে দেশে ভেষজ উদ্ভিদের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কারণ দেশে ভেষজ উদ্ভিদের প্রাকৃতিক উৎস প্রায় নিঃশেষিত। আন্তর্জাতিক বাজারে অংশীদারিত্বের জন্য আমাদের এখনই প্রয়োজন ভেষজ উদ্ভিদের পরিকল্পিত চাষাবাদ। ওষধি উদ্ভিদ রফতানীর বিষয়টি সরকার ভবনা চিন্তা করছে। বাংলাদেশের ওষধ নীতিতেও ভেষজ ভিত্তিক চিকিৎসা বা ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ সবই আশাপ্রদ হলেও ওষধি উদ্ভিদের বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশকে স্থান পেতে হলে সুপরিকল্পিত ভাবে অগ্রসর হতে হবে। যদিও এধরনের সুপরিকল্পনা এখনো প্রণীত হয়নি।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক খবরে জানা যায়, বাংলাদেশেই প্রায় ১০০ কোটি টাকার ওষধি উদ্ভিদ কাঁচামালের বাজার রয়েছে। কিন্তু এই কাঁচামালের ৯০ শতাংশ আসছে বিদেশ থেকে আমদানী মারফৎ। কাজেই ওষধি উদ্ভিদ চাষাবাদযে পরিকল্পিত পথে অগ্রসর হচ্ছেনা এটাই তার বাস্তব প্রমাণ।
দেশে ভেষজ উদ্ভিদের পরিকল্পিত বাণিজ্যিক চাষাবাদ সম্প্রসারণের উদ্দেশ্য নিয়ে বিজ্ঞান চেতনা সমিতি ও হার্বস বাংলাদেশ যৌথ উদ্দ্যোগে কর্মসূচী নিয়েছে। ভেষজ উদ্ভিদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার অত্যন্ত দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। আমরা মনেকরি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে উপযুক্ত বা বাছাই করা ভেষজ উদ্ভিদের নিবিড় বাণিজ্যিক চাষাবাদ।
ভেষজ উদ্ভিদের চাষাবাদ যাতে নিবিড়তর ও ব্যাপকতর হয় এর জন্য আমরা উদ্ধুদ্ধ ও সংগঠিত করণের জন্য কতেক নির্বাচিত ভেষজের বৈজ্ঞানিক চাষাবাদ কৌশল, এগুলির চাহিদা, অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ ও বিপণন প্রকৃয়া নিয়ে নিয়মিত সেমিনারের ব্যবস্থা করেছি। যারা এই অর্থকরী চাষাবাদে এগিয়ে আসেন, তাঁদের পরামর্শের মাধ্যমে সবধরণের সহায়তার যোগান দিয়ে থাকি।
বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ুতে বাণিজ্যিক ভাবে অত্যন্ত লাভজনক যে সব ভেষজ চাষাবাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে তার মধ্যে আছে- কাকমাছি, ঘৃতকুমারী, তুলসী, ভূমি-আমলকি, শতমূলী, অর্জুন, আমলকী, নিম, বহেড়া, বেল, হরীতকী, কালমেঘ, ব্রহ্মী, ভৃঙ্গরাজ, অশ্বগন্ধা, নিশিন্দা, বৃহতি, গুলঞ্চ, সর্পগন্ধা, নয়নতারা, বামুনহাটি, একাঙ্গী, সফেদ মুসলী, কলিয়াস ফ্রসকলি, স্টিভিয়া, স্পিরুলিনা ইত্যাদি। এসবের মধ্যে সফেদ মুসলী, কলিয়াস ফ্রসকলি, স্টিভিয়া বিশেষভাবে অর্থকরী।
সেমিনারের বিষয়ঃ সেমিনারে নির্বাচিত ভেষজ সমূহের পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, উপযোগী মাটি, রোপণ পদ্ধতি, কোনটি কখন, কি ধরণের ভূমিতে, কীভাবে চাষ করতে হয়? চাষের খরচ কত? কি পরিমাণ ভূমি থেকে কী পরিমাণ ভেষজ উৎপাদিত হয়? অর্থাৎ একর প্রতি ফলন ও আয়-ব্যায়। এর স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারদর কত? কত পুঁজি বিনিয়োগ থেকে, কত সময়ে, কত লাভ হয়। ফসল উত্তোলন, প্রকৃয়াজাত করণ ও সংরক্ষণ, উপকারিতা, লোকজ ব্যবহার, চাহিদা, সামাজিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব, দেশে বর্তমান চাহিদা, বিশ্ব বাজারে চাহিদা তথা রপ্তানী সম্ভাবনা ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।
ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার ও এর সুফল সাধারণ মানুষের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে ঘরে ঘরে আবার ভেষজ উদ্ভিদের বাগান করতে হবে। ভেষজ উদ্ভিদ চাষাবাদ করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হতে চাইলে করতে হবে নির্বাচিত ভেষজের বাণিজ্যিক উৎপাদন। উৎপাদিত ভেষজের যথাযথ মূল্যে বাজারযাত করণ নিশ্চিত করতে হবে। আর তাই হার্বস বাংলাদেশ ভেষজ উদ্ভিদের বাণিজ্যিক চাষাবাদে সবধরণের সহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে। যাঁরা ভেষজ উদ্ভিদের বাণিজ্যিক চাষে বিনিয়োগ করবেন তাঁদের সবধরনের পরামর্শ, বীজ, উপকরণ সরবরাহ, পরিচর্যা, ফসল বাজার জাতকরণ ও রপ্তানীসহ সকল সহযোগিতা দেয়া হবে।
* আমাদের আয়োজিত ভেষজ উদ্ভিদের বাণিজ্যিক উৎপাদন সংক্রান্ত সেমিনারে অংশ নিন।
* সেমিনারের অংশনিতে নিবন্ধন করুন।
* বাণিজ্যিক ভাবে ভেষজ উদ্ভিদের চাষাবাদ করতে আমাদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
* বাণিজ্যিক উৎপাদন ও রপ্তানীর জন্য চুক্তিবদ্ধ হউন।
যোগাযোগঃ
হার্বস বাংলাদেশ
ভেষজ তথ্য, গবেষণা, বিপণন, পরামর্শ কেন্দ্র
বিজ্ঞানবার্তা ভবন, ১৩৩ চন্দনপুরা, নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড, চট্টগ্রাম-৪২০৩
বাগানঃ মুহম্মদাবাদ ভেষজ বাগান, পা্ইন্দং (রাবার বাগান সংলগ্ন) ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।
মোবাইলঃ 01912509740/01819009070.
বিজ্ঞান চেতনা সমিতি’র সৌজন্যে সরবরাহকৃত
Kalpana Anam performed 90th anniversary of “Bidrohi”
As part of the joint celebration by India and Bangladesh of the 90th anniversary of the publication of “Bidrohi”, a timeless poem by Kazi Nazrul Islam, the Indira Gandhi Cultural Centre, High Commission of India, Dhaka organised a book launch programme on March 2 at the centre in Gulshan, Dhaka.
Noted Nazrul exponent and chairperson of the Nazrul Institute Trustee Board, Dr. Rafiqul Islam, graced the occasion as chief guest. He also unveiled “Nazrul Bichitra”, a commemorative book on the Rebel Poet at the event. Nazrul Sangeet renditions by noted artistes Khairul Anam Shakil and Masuda Anam Kalpona were the highlight of the event.
The artiste couple presented 15 songs at the musical soiree. Their repertoire included “Amar Kon Kuley Aaj Bhirlo Tori”, “Porodeshi Megh”, “Shuyo E Buk-e”, “Kuhu Kuhu Koyelia”, “Nayan Bhora Jol Go Tomar” and more.
Ifthekar Alam Prodhan on tabla, Almas Ali on violin, Doulatur Rahman on keyboard and Alamgir Hossain on mandira instrumentally assisted the singers.
Shakil is one of the better-known exponents of Nazrul Sangeet in Bangladesh. His music combines artistic vocal skills with meticulous attention to authentic compositions of Kazi Nazrul Islam. Shakil is presently the general secretary of Chhayanaut and a faculty member of the Department of Music at University of Dhaka.
Masuda Anam Kalpona has trained under Anjali Roy, Sohrab Hossain, Nilima Das, Sudhin Das, Selina Hossain, Asit Dey and Indian classical guru Muhammad Sagiruddin Khan. Kalpona is a teacher of Nazrul Sangeet at Chhayanaut.
Two new albums by Khairul Anam Shakil and Kalpana Anam
Khairul Anam Shakil is renowned as a Nazrul singer. A teacher and general secretary of Chhayanat, Shakil is also a familiar name to admirers of harano diner gaan and adhunik gaan. His wife, Kalpana Anam is also an accomplished artiste.
Two albums by the artiste-duo — Mrittika and Shonar Kathi Rupor Kathi — are currently available in the music market.
Mrittika, produced by Laser Vision, features ten patriotic songs. Shakil’s rendition of Mago tomar shobuj chadorey (written by Syed Mohsin Munir and composed by Kazi Hablu) opens the album. The next song Ei Banglar Matitey (written by Jaidev Sen and composed by Samir Dev) is sung by Kalpana.
The only duet by Shakil and Kalpana featured in the album is Aaj noi gungun, written and composed by legendary music director Salil Chowdhury.
Patriotic songs that have become synonymous with Victory Day or Independence Day celebrations like Ek shagor rokter binimoye (written by Govind Haldar and composed by Apel Mahmud); Amar desher matir gondhey (written by Maniruzzaman and composed by Abdul Ahad); O amar Bangla ma tor (written by Md. Fakhruddin and composed by Alauddin Ali) and the Tagore classic O amar desher mati, make this album a must-have.
The other album by Shakil and Kalpana, Shonar Kathi Rupor Kathi, produced by World Music, features eleven tracks, widely popular as “betar-er gaan” (songs on the radio) and film songs from the ’60s and ’70s.
The opening song Shonar Kathi Rupor Kathi (written by Nayeem Gauhar and composed by Anwar Parvez) rendered by Shakil sets the mood. It’s a trip down memory lane made thoroughly enjoyable by the singer-duo.
Kalpana provides a fresh approach to Khola janalaye cheye dekhi (written by Mukul Chowdhury and composed by Raja Hossain Khan), a song once made famous by Shahanaz Rahmatullah.
Jaar chhaya porechhey (written by Syed Shamsul haq and composed by Satya Saha) rendered by Kalpana, is another classic that can to stir up some fond memories.
Among other well-known songs featured in the album are — Tumi kokhon eshey (written by Gazi Mazharul Anwar and composed by Satya Saha) sung by Shakil; Tumi jey amar kobita (written by Abu Hena Mustafa Kamal and composed by Subal Das), a duet; Ogo mor geetimoy (written by Kamol Ghosh and composed by Robin Chattyopadhyay) rendered by Kalpana and Tumi shandhyakasher tarar moto (written by Musa Ahmed and composed by Ajmal Huda Mithu) sung by Shakil.
Solo performance by Khairul Anam Shakil at Indian Cultural Centre
Noted Nazrul Sangeet artiste Khairul Anam Shakil performed at Indira Gandhi Cultural Centre (IGCC) in Gulshan, Dhaka on July 22. At the programme Shakil rendered ghazal, kabya-geeti, folk and raga-based Nazrul Sangeet.
The singer started off with the overly familiar Nazrul classic, “Shaono Raate Jodi”. An ode to monsoon, the rendition moved the audience on several levels. “Elo Krishna Kanaiya” was another song based on monsoon that the singer rendered at the programme.
Shakil’s rendition of ghazals included “Keno” Dile E Kanta” and “Pashaner Bhangali Ghum”. “Bhiru E Moner Koli” and “Gabhir Nishithe Ghum Bhenge Jaye” were songs belonging to the kabya-geeti sub-genre that the singer performed at the soiree.
The seasoned artiste also sang a couple of songs, such as “Padmar Dheu Re”, on request from the audience.
Accomplished instrumentalists Almas Ali (on violin), Doulat-ur-Rahman (key board), Enamul Haque Omar (tabla) and Gazi Abdul Hakim (flute) accompanied the singer throughout the programme.
After the performance, Ankan Banerjee, director of IGCC, delivered a brief speech. Banerjee hoped to continue promoting traditional Bangladeshi music through such programmes.
Shakil’s Nazrul Geeti album ‘Benuka’ hits market
On the occasion of the National Poet Kazi Nazrul Islam’s 114th birth anniversary, renowned singer Khairul Anam Shakil is going to release his Nazrul Geeti album titled “Benuka” Friday evening through a ceremony at the Bengal Shilpalaya in Dhanmondi. The gifted singer will also perform at the function.
“Benuka” is the seventh solo album by Shakil and present a total of 12 songs of different tastes: Tomar Ankhir Moto Akasher Duti Tara, Musafir, Benuka, Chaitali Chadini Ratey, Chokh Gelo, Piu Piu Piu Bole Papia, Aji Nondodulaler Shathe, Nilambori Shari Pori, Elo Krishno Kanaiya, Boshia Bijone Keno Eka Mone, Bolo Na Bolo Na and Or Nishith Shomadhi Bhangio Na.
“This is my tribute to Nazrul on his 114th birth anniversary. I have sung raga based, ghazal based, romantic and few other types of songs of Nazrul in this album,” shared Shakil.
He further added: “In this album, I have presented some fusion using classical and western musical instruments.”
Produced by Bengal Foundation, the album’s music has been directed by Durbadal Chattopadhyay, an acclaimed music director from Kolkata.
– See more at: http://www.dhakatribune.com/infotainment/2013/jun/07/shakil%E2%80%99s-nazrul-geeti-album-%E2%80%98benuka%E2%80%99-hits-market#sthash.BrYHIWZY.dpuf
sonar kathi shakil kalpana-07-Track-07
sonar kathi shakil kalpana-05-Track-05
sonar kathi shakil kalpana-04-Track-04
Test
[fbalbumsync]
On going training
test
[FAG id=877]